পাগল করবে জানি হো হো করবে
সম্পর্ক টপকে গেলে গাছে গাছে ঈর্ষা ফুটবে
আলতো হরিণ তলে চিবুকের বাড়ি
কথা মেরামত করে করে তবেই সুপ্রভাত
কিংবদন্তী, গল্পের ভেতর যথারীতি
আপেল গাছের অপমান ছাপা হবে
আঙুল দিয়ে বানানো আরও একটা শরৎকাল
চিকন হাই তুলবে
তার কোন গ্রামার থাকবে না...
পেনসিলের সাদা সমাস
জবাকুসুম মানে পূবদিক
পশ্চিম ভিজে যাওয়া ঘুম
আকুলি বিকুলির হৃৎপিণ্ড
হাওয়া নেই, সঁপে দেওয়া জল
চিবিয়ে নামছে মিউজিয়াম
একা থাকা জলসেচ
বুঝিয়ে সুঝিয়ে সমুদ্রখাত
ওভারিতে
চক, ডাস্টার ও মাফলার
৪৫০ কোটি বছর পর আবার সেই নাভিপথ
ব্রহ্মাণ্ড বেয়ে বেয়ে উঠছে
গন্ধ বাহক পিঁপড়ে, ছেলেমেয়ে
যেন সহজ গমন
যেন চুম্বন দিতে যাচ্ছে নক্ষত্রে
পায়ে পায়ে কালো ঘৃণা
একলক্ষ বছরের আলজিভ
চোখের নিচে যুদ্ধরূপ, কোমরের মাতৃ রূপ নিয়ে
হিমবাহ থেকে শতক পেরিয়ে, হাড়মাংস পেরিয়ে
চুল্লির ভেতর ঢুকে আবার খণ্ড খণ্ড বৈষ্ণব
টুকরো টুকরো শাক্ত, একদলা হজরত বেরিয়ে আবার...
আধপোড়া বাবার মাংস, নদীতে ভাসিয়ে
অকর্মণ্য পুত্রের হাত তবেই রেজিস্ট্রি হচ্ছে
অনিদ্রার গাছে গাছে
চণ্ডাশোক, বিলি করা শাণিত অপ্রেম
স্নেহ হারিয়ে, ঘুণাক্ষর হারিয়ে
প্রতিটি রোমকূপে চৈত্র কণা
যদি একটা তালপাখা হত
যদি কেউ পূর্ণ বর্ষাকাল
মালকোষে ভিজে যেত হাড়মাস
প্রচুর তুমি যা শেখাবে
গত শতাব্দীর মনে পড়া মেয়েমানুষ
হে বৈকুণ্ঠ, হে আগুনে ঝলসানো কাঠবেড়ালি
লাফানোর রাস্তা বাতলাও
বলো তত্ত্বকথা, কত ডেসিবেলে নদী বাজলে
এই টিফিন কেরিয়ার ভরে দেবে
ক্ষীরের বিদ্যুৎ আর ছানার নিউরোন
কবিতা চিনবে না...
ননসেন্স
হাঁসের গা কোনো মামুলি সন্ধ্যে নয়
যে জিজ্ঞাসা গড়িয়ে নামবে
হতে পারে জল, টান একটা স্ফূর্তি
শীতবোধ নিরীহ দুঃখে কাঁপে ...
দু একবার উপত্যকাও আগ্রহ রেখেছে
অণ্ডকোষ পৃথিবীতে বর্ষাকাল ভালোবাসে
বেঁচে থাকা মানে তবে রতি, তবে কুসুম বনের এলিজি
অনিদ্রা ভিজে গেলে কী লাভ বলো
ঝড় থেমে গেলে...
সুন্দরের বিক্ষোভ তাহলে ট্যাবলেট নির্ভর
দ্যাখো বেসিনের ওপর আজ ঝুঁকে আছে
আমাদের নেশা, কুলকুচিগুলি...
তিনটি কবিতাই অনবদ্য । কবির ভাবনায় মৌলিকতা আছে । ক্ষিরের বিদ্যুৎ বা ছানার নিউরন --- ইত্যাদি শব্দ প্রয়োগ বৈচিত্রময় ।
ReplyDelete