Tuesday, September 29, 2015
জেমস্ ফেন্টন (২৫শে এপ্রিল,
১৯৪৯)
কবি , প্রাবন্ধিক, সাংবাদিক, শিল্প সমালোচক, থিয়েটার গবেষক, কলামনিস্ট
জেমস্ ফেন্টন অসম্ভব প্রতিভাধর ব্রিটিশ কবিদের একজন বলে বিবেচিত হন। শিক্ষালাভ ও
অধ্যাপনা অক্সফোর্ডে ইংরেজি কবিতা বিভাগে। পরবর্তীতেওধ্যাপনা ছেড়ে দিয়ে সাংবাদিকতায়
যোগদান। ক্যুইন্স গোল্ড মেডেল থেকে শুরু করে ২০১৫’র “পেন পিন্টার প্রাইজ” এর মত অসংখ্য সম্মানে ভূষিত ফেন্টন’র কবিতায়
মেধাবী আঙ্গিকের সাথে মিশে আছে মননের গভীর অনুভব। যুদ্ধ, বিপ্লব, বিদ্রোহ,
অভ্যুত্থান, মৃত্যু ইত্যাদির নির্মোহ ভাষ্যকার সাংবাদিকের কলমে যেমন গভীর দর্শন ও
বোধের প্রজ্ঞা, তেমনি কখনো বা সূক্ষ্ম রসবোধ আর ছন্দময় চলনের আপাত সরলতা। এসমস্তই
তার কবিতাকে করেছে অনন্য। উল্লেখযোগ্য কয়েকটি গ্রন্থ---আওয়ার ওয়েস্টার্ণ
ফার্নিচার, পুট দাউ দাই টিয়ার্স ইন্টু মাই বট্ল, ভ্যাকান্ট পজেশন্, ডেড
সোলজার্স, চিল্ড্রেন ইন এক্সাইল, ইয়ু ওয়্যার মার্ভেলাস, আউট অব ডেঞ্জার, দ্য লাভ
বম্ব, ইয়েলো টিউলিপস্---ইত্যাদি।
চারটি
কবিতা (ভাষান্তরঃ অনিন্দিতা গুপ্ত রায়)
( from “out of Danger” by JAMES FENTON)
১। রূপ,
সংকট ও হতাশা
রূপ, সংকট হতাশার সাথে
দেখা হয়েছিল পথে যেতে যেতে
যাকেই বেছেছি শেষমেশ দেখি,
আসলে বেছেছি হতাশাকেই।
২। বিপদ
থেকে দূর
এসো দয়া করে এই মুক্তি
স্বাক্ষর করো
যেমন গাছেরা সম্মতি দেয় তাদের
ক্ষতিতে
শিখে নিও পাতা কিভাবে শেখে
অনিবার্য ঝরে যাওয়া
বিপদসীমার বাইরে, প্রেমের
সীমার বাইরে।
বরফ জমাট বা গলনের যা নিজস্ব
দাবী
বিষন্ন শীত তাকে ছুঁতেও পারেনা
যা কিছু বাতাস বা বৃষ্টির
মালিকানাধীন
সে থাকে ঝড়ের বিপদসীমানার
বাইরে
ঈর্ষাতাড়িত আবেগের তীব্রতা,রূঢ়
দাবী
লালন করেছে যে হৃদয়, তাকেই
ঠকায়
অথচ পৃথিবী বা মৃত্যুর যা কিছু
নিজস্ব
তারা থেকে যায় সূর্যরেখার
বাইরে
আমি তো নিষ্টুর, নির্ভুলও
ছিলাম না কখনো---
একথা বলাটা ততটাই কঠিন যত কঠিন
তা জানা
তুমি আমার কেউ নও
তুমি এখন বিপদরেখার বাইরে---
বাতাস থেকে দূ্রে,
স্রোতের থেকে দূরে,
হৃদয় থেকে দূরে
পড়ে যাচ্ছ, ঝরে যাচ্ছ প্রেমের
থেকে দূরে
৩।
সেই সম্ভাবনা
দেওয়ালের টিকটিকিটা, মগ্ন,
হঠাৎ স্তব্ধতা জঙ্গলের দিক
থেকে
বলে যাচ্ছে যে আমি হারিয়ে
ফেলেছি
ভালো কিছুর সম্ভাবনা।
আমি জানি এই ফুলটি সুন্দর
গতকালও এরকমই মনে হত
যা আলতা-রাঙ্গা হাতের পাতার মত
খুলে যাচ্ছিল
আমার তাকে সুন্দর মনে হয়নি।
আমি জানি কাজকর্মগুলো বেশ
সুন্দর
এগুলো আশীর্বাদ। এগুলো ভালো
লাগার।
যদিনা এগুলো আমার নির্জনতা
কাটানোর
অলস উপায় হয়ে দাঁড়ায়।
আর নির্জনতাও সুন্দর
যখন আমি নিশ্চিত যে আমি দৃঢ়
আমি ভাবতাম এ এক মাধ্যম
যার মধ্যে দিয়ে বেড়ে ওঠা থাকে,
আর আমি ভুল ভাবতাম।
কাকেরা শপথ নিতে থাকে বনের
ভেতর
টিকটিকি দৌড় দেয় জবুথবু বেগে
বন্ধ মুঠির মত ফুল নিভে আসে
শুধু সম্ভাবনা ক্ষয়ে যায়।
৪। রক্ত ও সীসা
ওরা যা করেছে কান পেতে শোনো
ওরা যা বলেছে শুনতে হবেনা
যা কিছু লিখিত রক্তে নিহিত
অক্ষরমালা সীসায় বাঁধানো
সীসা ভেঙ্গেচুরে দেয় হৃদয়
সীসায় ছিঁড়েছে গোটা মগজ
যা কিছু রক্তে গোপনে লিখিত
নতুন করে তা নির্মিত হয়
হৃদয় মানে তো একটি মাদল
মাদলের আছে দীর্ঘ ফাঁস
ফাঁসটি ডোবানো রক্ত গভীরে
রক্ত মেলেছে হাওয়ায় আঁশ
ওরা কি করেছে মন দিয়ে শোনো
শোনো যা কিছুই ঘটতে চলেছে
রক্তের কথা কান পেতে শোনো
শোনো যা মাদল বলতে চেয়েছে
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
0 comments:
Post a Comment